স্ত্রী হত্যার ১৭ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
সিলেটে স্ত্রীকে হত্যার ১৭ বছর পর হত্যাকারী স্বামী সিরাজুল ইসলামের (৫০) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন ফাঁসি কার্যকরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় সিলেটের নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সিলেটের এই নতুন কারাগারে ফাঁসি কার্যকরের এটিই প্রথম ঘটনা। সিরাজুল ইসলাম হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন জানান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন জল্লাদ মোহাম্মদ শাহজাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেটের ডিআইজি (প্রিজনস) মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ মার্চ সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রী, ৩ সন্তানের মা সাহিদা আক্তারকে শাবল ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করেন। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসামি সিরাজুল ইসলামের ফাঁসির আদেশ দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে সিরাজুল হাইকোর্টে আপিল করেন।
হাইকোর্ট ২০১২ সালের ১ আগস্ট আপিলের রায়ে নিম্ন আদালতের দেয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। এরপর আসামি সিরাজুল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে তাও প্রত্যাখ্যাত হয়।
আইনি সব ধাপ শেষে বৃহস্পতিবার সিরাজুলের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করে কারা কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজুলের এক ভাই কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে শেষ দেখা করেন। সন্ধ্যার পরে কারা মসজিদের ইমাম মাওলানা হাবিবুর রহমান তাকে তওবা ও কলেমা পাঠ করান। রাত ১১টায় জল্লাদ শাহজাহান আসামি সিরাজুলের ফাঁসি কার্যকর করেন।