মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলার

মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলার

২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। যা বর্তমানে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আর মানুষের গড় আয়ু ২০০৫-০৬ অর্থবছরের ৫৯ বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯-২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর।

বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এসব তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বদলে যাওয়া এক দেশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা একটি স্বর্ণালী যুগ অতিক্রম করলাম, যা সারাবিশ্বে সমাদৃত। বঙ্গবন্ধুর পরে অর্থনীতি ও উন্নয়ন, সমাজনীতি, সংস্কৃতি, আইনশৃঙ্খলা, পররাষ্ট্রনীতিসহ সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। গত ১২ বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭ শতাংশের বেশি ছিল এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ শতাংশ অতিক্রম করে। মূল্যস্ফীতি ছিল সহনীয় পর্যায়ে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ওই সময়ে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ, বর্তমানে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। জিডিপির আকার ৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা হয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৭৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ এক মিলিয়ন ডলারের কম, যা বর্তমানে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থবছরে দশগুণের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ২০০৫-০৬ অর্থবছরের ৫৯ বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯-২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর।

শিশুমৃত্যু হার কমে প্রতি হাজারে ৮৪ থেকে ২৮ এবং মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ৩৭০ থেকে ১৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। দানাদার শস্যের উৎপাদন ২০০৫-০৬ বছরে ১ কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট থেকে ২৫ হাজার ২২৭ মেগাওয়াটে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ থেকে ৯৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।